রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৭

প্রতিটি সিজদাহ এর সাথে সাথে দুঃখ দূর হয়ে যায়। প্রতিটি নির্ভেজাল দু'আর মাধ্যমে সুখ আসে। আল্লাহ আপনার ভাল কাজকে কখনো ভুলে যান না, আবার অন্যদের প্রতি করা আপনার ভাল কাজগুলো, অন্যদের ব্যাথা ভুলিয়ে দেওয়া প্রভৃতি কাজগুলোও তিনি কখনো ভোলেন না। এবং তিনি এই কথাও ভুলে যান না যখন কিছু চোখের কান্না আপনি থামিয়ে দিয়ে তাদেরকে হাসিয়েছিলেন।

[ইবনুল ক্বায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ]

মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭

দৃষ্টিভঙ্গি 

একজন ধার্মিক ব্যক্তি একজন অন্ধ ব্যক্তিকে সর্বোত্তম ও সবচেয়ে সুন্দর খাবার খাওয়াল। তার স্ত্রী তাকে বলল, "এ অন্ধ লোকটিতো জানেনা যে সে কী খাচ্ছে (সুতরাং তাকে নিম্নমানের কিছু খেতে দিন)"  তিনি উত্তর দিলেন। "কিন্তু আল্লাহ তো জানেন"

-লা-তাহযান (হতাশ হবেন না)
পৃষ্ঠা:১৩৭
আপনি আপনার প্রিয় মানুষটার কাছ থেকে যখন ভালবাসার প্রতিদানে কষ্ট পেয়েছিলেন,
তখন হয়তো আপনি ভুলেই গিয়েছিলেন যে আল্লাহ কে ভালবাসলে তিনি প্রতিদানে আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসা দিতেন। 

রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৭

কুরআনের প্রসিদ্ধ মুফাসসির আল্লামা যামাখশারী (রহ) কবিতাকারে বলেছেন,


-ইলম শিক্ষায় আমি যে বিনিদ্র রজনী যাপন করি তা আমার কাছে সম্মোহনকারিনী রমণীর সঙ্গ বা আলিঙগনের চেয়েও বেশি প্রিয়। 

-কোন জটিল বিষয় বুঝার সময় আমার হৃদয়ের গভীরে যে আনন্দ-উল্লাস হয় তা আমার নিকট সর্বাপেক্ষা চমৎকার পানীয়ের চেয়েও বেশি সুস্বাদু। 

-কাগজের উপরে (লিখার সময়ে) আমার কলমে যে খসখস শব্দ হয় তা প্রেমিক-প্রেমিকার (আলিঙগনের শব্দের) চেয়েও বেশি মজাদার। 

-কাগজের ধুলি ঝাড়ার সময় আমার হাতে যে শব্দ হয় তা ঢোল বাজানোর সময় নারীর হাতে যে শব্দ হয় তার চেয়েও বেশি আনন্দদায়ক। 

-ওহে! যে শুধু বৃথা আশার মাধ্যমে আমার সমান মর্যাদা পাওয়ার চেষ্টা করে, অনেক বেশি উচ্চ বলে যে চড়তে কষ্ট পায় তার মাঝে আর অন্যজন যে চড়ে ও চূড়ায় পৌছে তার মাঝে কতইনা বেশি পার্থক্য!

-আমি রাতভর জেগে থাকি আর তুমি তখন ঘুমিয়ে থাক, অথচ তুমি আমাকে ছাড়িয়ে যেতে চাও! শিক্ষা কতইনা মহৎ! আর এর মাধ্যমে আত্মা কতইনা সুখী হয়!

বই: লা-তাহযান (হতাশ হবেন না)
পৃষ্ঠা: ১০১

শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৭

প্রিয় কবির কবিতা

কবিতা এমন


কবিতা তো কৈশোরের স্মৃতি। সে তো ভেসে ওঠা ম্লান
আমার মায়ের মুখ; নিম ডালে বসে থাকা হলুদ পাখিটি
পাতার আগুন ঘিরে রাতজাগা ভাই-বোন
আব্বার ফিরে আসা, সাইকেলের ঘন্টাধ্বনি–রাবেয়া রাবেয়া–
আমার মায়ের নামে খুলে যাওয়া দক্ষিণের ভেজানো কপাট!
কবিতা তো ফিরে যাওয়া পার হয়ে হাঁটুজল নদী
কুয়াশায়-ঢাকা-পথ, ভোরের আজান কিম্বা নাড়ার দহন
পিঠার পেটের ভাগে ফুলে ওঠা তিলের সৌরভ
মাছের আঁশটে গন্ধ, উঠানে ছড়ানো জাল আর
বাঁশঝাড়ে ঘাসে ঢাকা দাদার কবর।
কবিতা তো ছেচল্লিশে বেড়ে ওঠা অসুখী কিশোর
ইস্কুল পালানো সভা, স্বাধীনতা, মিছিল, নিশান
চতুর্দিকে হতবাক দাঙ্গার আগুনে
নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসা অগ্রজের কাতর বর্ণনা।
কবিতা চরের পাখি, কুড়ানো হাঁসের ডিম, গন্ধভরা ঘাস
ম্লান মুখ বউটির দড়ি ছেঁড়া হারানো বাছুর
গোপন চিঠির প্যাডে নীল খামে সাজানো অক্ষর
কবিতা তো মক্তবের মেয়ে চুলখোলা আয়েশা আক্তার।

-আল মাহমুদ
"এই লেখাটির সাথে বর্তমান সময়ের কি নিঁখুত একটা সামঞ্জস্য যা আমার মতন হয়তো অনেককেই ভাবিয়ে তোলে"

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশী আজ চোখে দ্যাখে  তারা ;

যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই, প্রীতি নেই, করুণার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া ।

-জীবনানন্দ দাশ
মনে হল, পেছন থেকে ডাকলো বুঝি কেউ
শুনলাম বলছে, "আমাকে ছেড়ে যেও না"
মনকে বলি ওটা তোমার ভ্রম, শোনার ভুল।
ওদিকটায় আপাতত কান দিও না। 

প্রতিটি সিজদাহ এর সাথে সাথে দুঃখ দূর হয়ে যায়। প্রতিটি নির্ভেজাল দু'আর মাধ্যমে সুখ আসে। আল্লাহ আপনার ভাল কাজকে কখনো ভুলে যান না, আবার ...